শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৭

বুঝিয়া বলিও, বলিয়া বুঝিও না বন্ধু আমার - শত্রু আমার

মোহাম্মদ বিড়াল আর টেডিবিয়ার মোহাম্মদ,
বাংলাদেশ থেকে সুদান। ধর্মানুভূতিতে আঘাত,
ধর্মান্ধদের উম্মাদনা, সাধারন মানুষের কষ্ট , আঁতেলের আঁতলামী, সাইক্লোপের মানবতার বাণী।
চক্রাকারে চলছেই।

এটাকি ঠিক নয় যে, মুসলমানদের কাছে মুহাম্মদ(সাঃ) একজন পরম সম্মানীয় মানুষ। উনাকে নিয়ে যখন কোনো রকম বাজে কমেন্ট করা হয় বা মজা করা হয় সেটাতে হয়তো উনার সম্মান কমে যায় না তবে উনাকে যারা সম্মান করেন ও পছন্দ করেন তাদের মনে কষ্ট লাগে, আবার কারোবা ধর্মানুভুতীতে আঘাত হানে।

আমার লেখার উদ্দেশ্য ধর্মানুভূতীতে আঘাত হানে কি হানে না অথবা এতে উনার সম্মান কমে যায় কি যায় না, সেটা নয়।
লেখার ‌উদ্দেশ্য , যারা বলেন তারা কি ভেবে বলেন না উদ্দেশ্যমুলক ভাবে বলেন !!

ভ্যাটিকানের পোপ যখন মুসলমাদের নিয়ে বাজে কমেন্ট করেন (আমার ব্যক্তিগত মতামত) তখন কি মনে হয় কি উনি ভুলে গিয়েছিলেন তার বক্তব্য মুসলমানদের অনুভুতীতে আঘাত হানতে পারে?
ডেনমার্কের কার্টুনিস্ট যখন মুহাম্মদ(সাঃ) কে নিয়ে ব্যাংগ কার্টুন আঁকেন তখন কি জানতেন না এটা মুসলমানদের ধর্মানুভুতীতে আঘাত হানতে পারে ?

যখন বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের নিয়ে বাজে কমেন্ট করা হয় মুক্তবুদ্ধি বা বাক স্বাধীনতার নামে তখন ঠিন একই যুক্তি নিয়ে কি মানবতার বিরুদ্ধে বা অন্য কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে ( যেমনঃ ইহুদি ) কথা বলা যাবে? যদি বলা হয় তবে সেটা হবে এন্টি -সেমেটিক, মানবতা বিরোধী, বর্বর ইত্যাদি ইত্যাদি।

কোনো ধর্ম-জাতি বা বর্নকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করার সময় ভেবে দেখতে হয় সেই মন্তব্য বা ছবি যাতে সেই ধর্ম-জাতি-বর্ণ সংশ্লিস্ট কারো অনুভুতিতে আঘাত না হানে।

কিছু দিন আগে সিডনীতে এক চিত্র প্রদর্শনীতে জেসাসের ছবির সাথে লাদেনের ছবি ব্যবহার করে নিয়ে তুমুল বিতর্ক, ছবিতে লাদেনের সাথে জেসাসকে দেখানোতে জেসাসকে অপমানিত করা হয়েছে ! তুমুল প্রতিবাদের মুখে ছবিটি সরিয়ে নেয়া হয়। লাদেনের ছবির সাথে জেসাসকে ব্যবহার করলে যদি জেসাসের অপমান হয় তবে মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে নোংরা কার্টুন আঁকলে সমস্যা হয় না । আজব সব ভন্ডামী।

আমার লেখা কোনো জাতি-ধর্ম-বর্নকে উদ্দেশ্য করে নয়। উদ্দেশ্য সেই সব লেখক-সাংবাদিক-রাজনৈতিক বা সাধারন মানুষকে উদ্দেশ্য করে যারা বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক বাজে, নোংরা ও উস্কানীমুলক বক্তব্য দেন। সেই সাধারন ব্রিটিশ ভদ্রমহিলা বা প্রথম আলোর কার্টুনিস্ট আরিফ হয়তোবা সরল মনে টেডিবিয়ারকে মোহাম্মদ নামে ডাকার ছাত্রদের আব্দারকে সরল মনে আস্কারা দিয়েছিলেন বা কার্টুন এঁকেছিলো। কিন্তু সবাই কিন্তু সেই ব্রিটিশ মহিলা বা আরিফ না ।

যারা এসব করেন, তারাকি ভুলে যান তাদের এসব মন্তব্য সাধারন ধর্মবিশ্বাষীদের ধর্মানুভুতীতে আঘাত হানতে পারে ?
একটি ধর্মকে অপমানিত করতে পারে ?

এরা জানেন ও জেনে শুনেই এসব করেন। হিংসা-যুদ্ধ তৃষ-ঘৃনা ছড়িয়ে দেবার জন্যই এসব করেন।

বুঝিয়া বলিও, বলিয়া বুঝিও না বন্ধু আমার - শত্রু আমার

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।