মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০০৭

সিভিল মিলিটারি সংঘাত , প্রসংগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সিভিল - মিলিটারি সংঘাতের আরেকটি বহিঃপ্রকাশ দেখা গেলো গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ক্লাস ৮ পাস করে ভর্তি হওয়া সৈনিক বা এইচ.এস. সি পাস করে মিলিটারি একাডেমিতে যাওয়া অফিসার ক্যাডেটরা সব সময়ই এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগে বলে আমার ধারনা।এই হীনমন্যতা দূর করার জন্য প্রশিক্ষনের সময় তাদের হাঁটুতে এমন এক ধারনা ঢুকিয়ে দেয়া হয় যেনো তারা সর্বশ্রেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠতর তাদের ব্লাডি সিভিলিয়ান বাবা-ভাইয়ের চাইতে।

ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেবার ছাগলীয় পন্থায় বিশ্বাষী করে তোলা হয় তাদের।

অন্ধ ভাবে অর্ডার মানার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা হয় তাদের।

ক্যান্টনমেন্ট নামক ছাগলের খোয়ারে যুধবদ্ধভাবে বেড়ে ওঠা জলপাইওলাদের ব্লাডি সিভিলিয়ানদের হতে দূরে রাখা হয় যাতে তার যুদ্ধে চরম নৃষংশতা দেখাতে পারে। এই এরাই যখন নিজের দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র ভেবে নিজের মানুষদেরকেই শত্রু ভেবে ঝাঁপিয়ে পরে তখন এদের আসল চেহারা ও চরিত্র বের হয়ে পরে। যার উদাহরন আবারো দেখা গেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বাংলাদেশের অতীতের সামরিক শাষনের সাথে বর্তমান সামরিক শাষনের তুলনা করকেই অনেক অনেক মিল বের হয়ে আসে।

দেশ বাঁচাবার মিস্টি মিস্টি কথা বলে ক্ষমতায় আসা ,
দেশ বাঁচাবার কথা বলে সংবিধাননে ধর্ষন করা,
গনতন্ত্র বাঁচাবার কথা বলে গনতন্ত্রকেই গলা টিপে মারা,
দেশের রাজনৈতিক নেতাদের দূর্নীতিবাজ বলে জেলে ঢোকাবার ছেলে ভোলানো খেলা খেলা ,
আবার সেই রাজনৈতিকদের নিয়েই দলগঠন করে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহন করা,
অর্থনীতির বারটা বাজিয়ে দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন কাজ চালিয়ে মানুষকে ধোঁকা বানানো,
সবই তো চলছে।

তবে ভবিষ্যতই বলে দেবে বাংলাদেশের ভাগ্যে কি আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ঘটনা একটি ছোট্ট সূচনা বলেই মনে করছি আমি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে যতো বিশাল আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো তার সূতিকাগার ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জলপাইওলাদের দাঁত- নখ বের হবার সূচনা হলো সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। আফসোস !!

আমার ধারনা বর্তমান সামরিক সমর্থিত তথাকথিত তত্বাবধায়ক সরকার এটা সামলিয়ে উঠতে পারবে।
তবে মানুষের মনে যে ডাগ রেখে গেলো সেটা কি দূর করতে পারবে আদৌ??

বাংলার মানুষ বেত হাতে জেনেরেল দেখেছে অনেক, সেই জেনেরালদের পশ্চাতদেশে বাঁশ প্রবেশ করাতেও ভুল করেনি বাংলার মানুষ।

মানুষ খুব কম সময়ই ইতিহাস হতে শিক্ষা গ্রহন করে, এবারের উর্দিওলারাও শিক্ষা গ্রহন না করেই সেই একি পথ হাঁটছে।
মাঝখানে দেশ ও সাধারন মানুষের অবস্থা খারাপ।
এটা চলতেই আছে, ১৯৭১ , ১৬ ডিসেম্বর - ২০০৭ , ২১ অগাস্ট।
সময়তো কম হোলো না। আর কতো !!

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।