সোমবার, ২ জুলাই, ২০০৭

চিকন আলীর ফাঁসির আদেশ, মোটা আলীরা আরও মোটাতাজা


খুব ছোট বেলা চিকন আলির কথা পড়েছিলাম সাপ্তাহিক বিচিত্রা বা সন্ধানীতে, ঠিক মনে আসছে না কোনটাতে। আজ জনকন্ঠে রিপোর্টটা পড়ে সেই চিকন আলীর কথা আবার মনে পড়ে গেলো।

আজকের জনকন্ঠের রিপোর্টে চিকন আলীর কোনো ছবি না থাকলেও সেই রিপোর্টটাতে ছিলো। দেখতে , গ্রামের আর দশটা সাধারন খেটে খাওয়া মানুষদের সাথে আর কোনো পার্থক্য নাই।

1972 সালের 10 জুন। কুস্টিয়ার দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইবুনালের সদস্য আর.কে.বিশ্বাষ এ রায়ে রাজাকার চিকন আলীর ফাঁসির আদেশ দেন বাংলাদেশ দালাল আইন 11(ক) ও ফৌজদারি আইন 302 ধারা বলে।ফাঁসির আদেশের দিনে চিকন আলী বলেছিলো " চিকন আলীদের ফাঁসি হলে মোটা আলীদের কি হবে ? "
চিকন আলীর ফাঁসি হয়নি। পরবর্তিতে সাধারন ক্ষমায় সে ছাড়া পেয়ে যায় ও তার গ্রামে ফিরে যায়।
আমার জানা মতে দালাল আইনে দোষি সাব্যস্ত ও সাজা পাওয়া একমাত্র রাজাকার হলো চিকন আলী।

আরো অভিযোগ আনা হয়েছিলো অনেকের বিরুদ্ধে, তবে কোনোটাই আলোর মুখ দেখে নাই পরবর্তিতে।

কতো সরকারই তো আসলো। সেই আওয়ামি লীগ থেকে সর্বশেষ বি.এন.পি - জামাত জোট।
বংগবন্ধু থেকে সর্বশেষ খালেদা জিয়া , কতো সরকার বা রাস্ট্রপ্রধানকেই তো দেখলাম।
কতো কথাই তো শুনলাম। মেঘনা নদীতে কতো পানিও তো গড়িয়ে গেলো। বিচার আর হোলো না।

চিকন আলী কি আজো বলে " চিকন আলীদের ফাঁসি হলে মোটা আলীদের কি হবে ? "
শহীদ জননি জাহানারা ইমামের আত্মা কি আজো বিচার চেয়ে কাঁদে একাকি ?
হাজারো শহীদ জননী-জনক কি আজো বিচারের আশায় বুখ বেঁধে আছেন?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি শুধু পত্রিকার পাতায়, পলটনের ময়দানে বা ব্লগের পাতায় থাকবে ?
মোটা আলীরা আরো মোটা তাজা হচ্ছে।
চেতনা ও প্রতিক্রিয়া আজ একি টেবিলে বসে ফ্রায়েড চিকেন চিবুয়।বিচার কি পাবো না আমরা কোনো দিনই !!!! ????
২০০৭-০৩-১৭ ০৪:০৪:০৭

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।