বুধবার, ২৩ মে, ২০০৭

আবু হোসেন বাদশাহ

কদিন থেকেই ব্লগিংবাজি আর কলমবাজির পার্থক্য খুঁজছিলাম। ফারাকটা তেমন পাই না। একটা পত্রিকার পাতায়, আরেকটা মনিটরের পর্দায়। দুইটাই নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ঢিল ছুঁড়ার মতো। লাগলে লাগবে, না লাগলে কি যায় আসে।

মধ্যবিততের ভার্চুয়াল রাজনৈতিক মন্চ ব্লগের পাতা। মাঠে সুযোগ পায়নাই তো কি হয়েছে! ফাটাচ্ছে ব্লগের ফ্রন্ট পেজ। সমাজ পরিবর্তনের বিশাল ডাক দিচ্ছে স্টাডি রুমের চেয়ারে বসে। ড্রয়িং রুমে বসে আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের ঢাক দেয় কফির মগ হাতে।

একজন আম্রিকা থেকে বসে লিখেন গনতন্ত্র মুক্তি পাক, লিখে মুক্তিযু্দ্ধের চেতনার বড় বড় সব বুলি। আর সেই বান্দাই ৯০ এর গনআন্দোলনে ঘরে বসে মুড়ি-চানাচুর খেয়েছে আর টিভিতে বাংলা সিনেমা দেখেছে। আনন্দোলনের সুফল ভোগ করেছে আর খুশিতে বগল বাজিয়েছে।

আরে মিয়া, পুলিশের গুলির সামনেতো মিয়া আপনে দাঁরান নাই, গুলি খাইতে তো আপনারে হয় নাই, মরতে তো হয় নাই আপনার কোনো স্বজনকে।

কে মরেছে? মরেছে গরীবের সন্তান। সেই গরীব গরীবই রয়ে গিয়েছে।
ফাঁকে তালে আপনে হোন হিরো, টিনের সেপাই।

শহিদ জননী জাহানারা ইমাম যখন গনআদালত তৈরি করেন সেই আদালত দেখতে গিয়ে নিজেই সেই গনআদালতের অংশিদার মনে করেন, আর শহীদ জননী জখন নাইটেংগেলের মোড়ে পুলিশের লাঠির বাড়ি খায় তখন আপনারে পাওয়া গিয়েছে নাইটেংগেল বারে।

যততসব ভন্ডামী।
বাঘের ছাল লাগাইলেই ভেড়া বাঘ হয়ে যায় না।
--------

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।