শনিবার, ১৯ মে, ২০০৭

গুরু সংবর্ধনা

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে থেকে পাস করে বের হয়েছি ১২ বছর হোলো।
মনে হয় এইতো সে দিন।
২০০২ এ রি-ইউনিয়নে গিয়েছিলাম। ৫ বছর পর আজ আবার গেলাম ।
আজ ছিলো " গুরু সংবর্ধনা "
কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সব সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তাঁদের আশির্বাদগ্রহনের জন্য 'ওল্ড রেমিয়েন্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসনের' পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিলো এই গুরু স্বংবর্ধনা।
বিদ্যূত না থাকায় ৩ টার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিলো ৫:৩০ টায়। এর ফাঁকে কলেজের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে পুরোনো সব বন্ধুদের আড্ডা ও শিক্ষকদের সাথে কথা। ১২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে তার পরো অনেক স্যার-টিচাররাই আমাদের চিনতে পেরেছেন।মনজুরুল হক স্যারের সাথে দেখা হোলো। স্যারতো এতো বছর পরো আমার কলেজ নাম্বার ও নাম মনে রেখেছেন। আমিতো অবাক!
যে সিগারেট খাবার জন্য পানিশমেন্ট খেতে হয়েছিলো, যে সিগারেট লুকিয়ে খেতাম, সেই সিগারেট খেলাম স্কুল বিল্ডিং এর সামনে দাঁড়িয়ে। আমরা সবাই নিজেকে বড় বড় ভাবছিলাম।
পুরোনো অনেকের সাথেই দেখা হোলো। কষ্টের ব্যাপার হোলো আমার ব্যাচের খুব কম ছেলেই এসেছিলো। ১০৪ জনের মধ্যে ৬ জন । অনেককেইতো চিনতেই পারি নাই। নামতো ভুলে গিয়েছি, সাথে চেহারাও। আমার রুমমেট শরিফের ডারলিং তাহমিনা আপাকেও দেখলাম ( যদিও উনি আমাদের এক সিনিয়র কে বিয়ে করেছেন )। উনাকে দেখে পুরোনো মজার কিছু স্মৃতি চলে এসেছিলো।
অনুষ্ঠান শুরু করলেন রেমিয়েন্স মিজান ভাই। আমাদের এলামনি এসোসিয়েসনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট।ডঃ মিজান, বুয়েটের প্রফেসর, এক সময়ের ডিন। বাহিরে অন্য সময়ে স্যার বল্লেও কলেজে সোজা " ভাই " বলে ঢাকি আমরা। ভাবতে ভালোই লাগে।
তার পর একে একে শ্রদ্ধ্যেয় সব স্যার-টিচার দের মানপত্র প্রদান করা হোলো। কলেজের এক সময়ের প্রিন্সিপাল শহীদ কর্নেল রহমান( যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হোন) এর পক্ষ থেকে মানপত্র গ্রহন করলেন উনার স্ত্রী। সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করলেন। সারা মিলানায়তনে তখন অন্য রকম এক পরিবেশ।
সন্ধ্যা ৬:১৫ এ অনুষ্ঠান শেষ হবার আগেই চলে আসতে হোলো অন্য এক জায়গায় যাবার তাড়া থাকায়।
ইচ্ছে ছিলো আমি যে রুমে থাকতাম সেই রুমটা বউকে দেখাবো। সেটা আজ আর হোলো না। বেটার নেক্সট টাইম।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।