বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০০৭

মৃত্যু মূল্য

আজকের প্রথম আলোর একটা রিপের্াট পড়ে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। এ ধরনের খবর প্রতিনিয়ত পড়লেও আজকে মনে কেনো যে দাগ কাটলো সেটাই বুঝতে পারছি না।
ময়না হোসেন নামে 17 বছরের ছোট্ট এক ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিমর্ান কাজ করবার সময় দূর্ঘটনায় নির্মমভাবে মারা যায়।
প্রতিদিন কতো ময়নাই যে এভাবে মারা যায় কে তার খবর রাখে।
হয়তো ময়নার মা এখন কাঁদছে ,
হয়তো ময়নার লাশ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে বেওয়ারিশ ভাবে পরে রয়েছে।
কে তার খবর রাখে ! !
ময়না যখন মারা যায় তখন নিরাপত্তামূলক কিছুই তার পড়নে ছিলো না।
ছিলো না কোনো শ্রমিক নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা।
এটা আশাও করা যায় না।
ময়নারা মরলে কি আসে যায় দেশের।তাদের আবার নিরাপত্তা !!

বেশ ক বছর আগে বেনিনে বিমান দূর্ঘটনায় বেশ জাতিসংঘে কাজ করা কিছু আর্মি অফিসার মারা যায়। তখন সারা দেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছিলো, পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়েছিলো। মৃত্যুপরবতর্ী প্রচুর আর্থিক সুবিধা পেয়েছিলো তাদের পরিবার।
অর্থ মূল্যে তা নাকি অর্ধকোটির বেশী।
এর কিছু দিন পরই চাঁদপুরে ভয়াবহ লনচ দূর্ঘটনায় মারা যায় প্রায় 400 এর বেশী যাত্রী। তাদের অনেকের ভাগ্যেই জুটেনি কোনো জানাজা, কবর। অনেককেই গনকবর দেয়া হয়েছিলো। জুটেনি জাতীয় শোক দিবস বা জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মতো সম্মান।
ক্ষতিপূরন হিসেবে তাদের পরিবারকে দেয়া হয়েছিলো বিশ্ব বিখ্যাত ব্ল্যাক বেংগল ছাগল।

কি নিষ্ঠুর পরিহাস !!ময়নারা মরলে কি আসে যায় ?
তাদের জীবনের মুল্য মুল্যহীন।
একি দেশে জন্ম নিয়ে কতোই না ভেদাভেদ।
এটাই নাকি গনতন্ত্র!

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।